Header Ads

Header ADS

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী খুনে চারজনের যাবজ্জীবন

সাত বছর আগে এক ব্যবসায়ীকে খুনের মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নুর আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. সাহাবউদ্দিন, মো. রাশেদ, এনামুল হক এনাম এবং মেহরাজ ওরফে মিরাজ।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর রাঙামাটি থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ফুলতল বাজার এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন পটিয়া উপজেলার কুলগাঁওয়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ (২৮)।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. নাছির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের চারজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন।

“আসামিদের মধ্যে সাহাবউদ্দিন ও রাশেদ জামিনে নিয়ে পলাতক। অন্য দুই আসামি এনাম ও মিরাজকে রায় ঘোষণার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১ নভেম্বর ঈদ উপলক্ষে রাঙামাটি থেকে পটিয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন মো. ইউসুফ। তিনি রাঙামাটিতে ব্যবসা করতেন।

নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথায় বাস থেকে নামার পর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন ইউসুফ। ওই অটোরিকশার চালক ছিলেন আসামি মিরাজ।

কিছু দূর যাওয়ার পর যাত্রীবেশে ওই অটোরিকশায় ওঠেন সাহাবউদ্দিন, রাশেদ ও এনাম। অটোরিকশাটি কালুরঘাট সেতু পার হওয়ার পরই ইউসুফের দুই পাশে বসা যাত্রীরা তাকে জাপটে ধরে।

সাহাবউদ্দিন, রাশেদ ও এনাম তাকে কিল-ঘুষি মেরে এবং একটি শার্ট গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে তার কাছে থাকা মোবাইল, টাকা এবং অন্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।

বোয়ালখালী উপজেলার ফুলতলা বাহার সংলগ্ন এলাকায় ইউসুফের লাশ রাস্তায় ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত ইউসুফের ভাই মো. ফারুক একটি হত্যা মামলা করেন।

এ ঘটনায় ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছরের ২৮ অগাস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এ মামলার আসামি মিরাজ ও এনাম গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।

মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত রায় দেয়।

No comments

Powered by Blogger.