চটগ্রামে এসব কি হচ্ছে? মেয়েরা সাবধানে পথ চলুন!
গতরাত ১০/০৪/২০১৮ তারিখ রাত ৯টার দিকে ঘটে যাওয়া আমার সাথে ভয়ংকর ঘটনা
লেখাটা যখন লিখছি হাত পা কাপঁছিলো. এতোটাই ভয় পেয়েছি. আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং নিজের উপস্থিত বুদ্ধির জন্য আজ সুস্থ সবল ভাবেই বাসায় আসতে পেরেছি.
আচ্ছা বাংলাদেশটা কি সত্যি বসবাসে অযোগ্য হয়ে গেলো????
মূল ঘটনা : আমার আজ কিছু টেস্ট ছিলো শেভরণে , রাত ৮টার দিকে রিপোর্ট আনতে যাই বাট ওরা জানায় রিপোর্ট নেক্সট শনিবার পাবো. হালকা মেজাজ খারাপ করে চলে আসি।
শেভরণের সামনে থেকে সিএনজি দেখছিলাম বাসায় আসার জন্য, কয়েকটা সিএনজি দেখার পর একটাতে উঠে পড়ি. উঠতেই খেয়াল করি এই সিএনজিটাকে প্রথমে আস্ক করি বাট ও ১৫০টাকা চায় তাই উঠিনি, এটাই আবার ঘুরে এসে ১০০টাকায় রাজি হয়ে যায়.
কয়েক মিনিট পর খেয়াল করি সিএনজির লুকিং গ্লাস নেই, ড্রাইভার নেভি ব্লু ড্রেসেও নেই , একটু বাকাঁ হয়ে বসছে. সুগন্ধা আবাসিকে ঢুকতেই ব্যাটা মুখে মাস্ক পড়ে ফেলে , আমার খটকা লাগে রাতে তো ধুলা বালি নেই যে মাস্ক পড়বে. একটু উকি দিয়ে দেখে আমার শরীর হীম হয়ে আসে লোকটার হাতে ছোট একটা স্প্রে বোতল!
চট করে মাথায় কি আসলো হিজাব দিয়ে নাক চেপে ধরি , আমার বোন ছিলো সাথে ওকেও নাক চেপে ধরার ইশারা দেই. পরে একটু জোরে জোরেই বলি ইস পাচঁলাইশ থানার সামনে দিয়ে গেলে ভাইয়ার সাথে দেখা করে যেতাম. আমার আপু তখনো বুঝে নাই কি হচ্ছে , ও বলে কোন ভাই? পরে ওকে ইশারা দিয়ে চুপ করাই.
সিএনজিটা ষোলশহর দিয়ে বের হয়ে ফরেস্ট দিয়ে যেতে নিলেই আমি জোর গলায় বলি আমার মুরাদপুর কাজ আছে, ঐ দিকে যান. লোকটা গাড়ি না থামিয়ে বলে এদিকেই যাবে. জোর গলায় থামতে বলি, ও থেমে বলে এই দিকে কি প্রবলেম? আমি বলসি এই অন্ধকার নির্জন রাস্তায় যাবো না , ব্যাটা বলে আগে বলেন নাই ক্যান? অন্ধকার রে কি প্রবলেম???
আমি আবার বলি এদিকে যাবো না , পরে ও বলে না গেলে নেমে যান . কোনমতে টাকা দিয়ে নেমে যাই. নামার পর অবশ্য বলি "ভাই রাত বিরাতে মাস্ক পড়তে হয় না , রাতে ধুলা থাকে না" ব্যাটা বুঝে যায় আমি বুঝতে পারছি ওর চালাকি.
ভাবেছিলাম গাড়ির নাম্বারটার ছবি তুলবো বাট পরে ভাবলাম এদের গ্যাং হয়তো আশেপাশে আছে তাই সোজা হাটা ধরি. মুরাদপুর এসে আপু আস্ক করে কাহিনি কি? আপুকে যখন বললাম কাহিনি, আপু তো পুরা "থ".
আপুর মতো যদি আজ আমিও বেখেয়াল থাকতাম তাইলে কাল সকালের পেপারের কোন এক কোনায় হয়তো সংবাদ হতাম . হাইজ্যাক তো হতামই, আরো কত খারাপ কিছু হতো তা না বললেও বুঝতেছেন সবাই.
এই চক্রের টার্গেট থাকে মেয়েরা. সিএনজিতে ক্লোরোফর্মের স্প্রে করে নির্জন জায়গায় নিয়ে যা করার করতো ওরা. আল্লাহ অশেষ রহমত যে আমাকে সঠিক সময়ে উপস্থিত বুদ্ধি দিয়েছেন.
অনেকে বলবেন লোকজন ডাকিনি কেন? প্রথমত ভয় পেয়েছি, দ্বিতীয় হয়তো এদের গ্যাং আশেপাশেই ছিলো পরে হিতে বিপরীত হতে পারতো. আমার প্রথম চিন্তা ছিলো আগে বেচেঁ ফিরি. মেয়েরা ভালোই বুঝবেন তখন আমার কি পরিমান ভয় লাগছিলো.
প্লিজ আপুরা যারা রাতের বেলায় জার্নি করেন ব্যাপার গুলো একটু খেয়াল রাখবেন , এই দেশ এই পৃথিবী আর আমাদের বাসযোগ্য নেই রে আপু!
No comments