চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেন আটকাতে চালককে ‘অপহরণ’
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেনের চালক বা লোকে মাস্টারকে তুলে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নগরীর ষোলশহরের স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে একটি শাটল ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত এর আগেই ওই ট্রেনের চালককে অপহরণ করা হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় রুটে বর্তমানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো শাটল ট্রেন চলাচল করেনি বলে জানান শাহাবুদ্দিন।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষার্থীবৃন্দ’ নামে এক সংগঠনের নেতারা ট্রেনচালককে ধরে নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অতীতেও নানা সময় দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়মুখী শাটল ট্রেনের চালককে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। দিনশেষে তাদের ফিরে পাওয়া যায়। মূলত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতেই এটা করা হয়। এবারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, “শাটল ট্রেনের লোকো মাস্টারকে অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। আমরা বিষয়পি রেলওয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” তবে কে বা কারা অবরোধ করেছে, তা জানেন না বলে জানান তিনি।
আট দফা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, “গত বৃহস্পতিবার আট দফা দাবিতে একটি সংগঠন থেকে বেনামি একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা যে দফাগুলো দিয়েছে, তার কোনোটি পূরণ করার মতো নয়, শুধু মাত্র শাটল ট্রেনের বগিবৃদ্ধির দফাটি ছাড়া। এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা অতি শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য বরাবর আট দফা দাবিতে একটি চিঠি দেয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষার্থীবৃন্দ’।
আট দফা দাবির মধ্যে আছে -প্রতিটি বিভাগের সেশন জট নিরশন ও শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি, ক্যাম্পাসে বেড়ে যাওয়া ছিনতাই ও মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রশাসনিক পদে থাকা জামায়াত-বিএনপিপন্থিদের অপসারণ, নিয়মবহির্ভূত নিয়োগকৃত প্রতিক্রিয়াশীলদের নিয়োগ বাতিল, শিক্ষক বাসে বোমা হামলাকারী শিবির ক্যাডারদের চাকরিচ্যুত করা, খালেদা জিয়ার নামে করা হলের নাম পরিবর্তন, বঙ্গবন্ধুর নামে ভাস্কর্য নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত-বিএনপি কর্মীদের হাতে নিহত ছাত্রনেতাদের হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
নতুন যাত্রা শুরু হওয়া এই সংগঠনে কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতারা সরাসরি যুক্ত না থাকলেও ছাত্রলীগের একাংশ নেপথ্যে থেকে তাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য বরাবর আট দফা দাবিতে একটি চিঠি দেয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষার্থীবৃন্দ’।
আট দফা দাবির মধ্যে আছে -প্রতিটি বিভাগের সেশন জট নিরশন ও শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধি, ক্যাম্পাসে বেড়ে যাওয়া ছিনতাই ও মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রশাসনিক পদে থাকা জামায়াত-বিএনপিপন্থিদের অপসারণ, নিয়মবহির্ভূত নিয়োগকৃত প্রতিক্রিয়াশীলদের নিয়োগ বাতিল, শিক্ষক বাসে বোমা হামলাকারী শিবির ক্যাডারদের চাকরিচ্যুত করা, খালেদা জিয়ার নামে করা হলের নাম পরিবর্তন, বঙ্গবন্ধুর নামে ভাস্কর্য নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াত-বিএনপি কর্মীদের হাতে নিহত ছাত্রনেতাদের হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
নতুন যাত্রা শুরু হওয়া এই সংগঠনে কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতারা সরাসরি যুক্ত না থাকলেও ছাত্রলীগের একাংশ নেপথ্যে থেকে তাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
No comments