বরাদ্দ না থাকায় এবারও চট্টগ্রামে হচ্ছে না খাল খনন


বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। তবে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৬টি খাল খননের মাধ্যমে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। অন্যদিকে বরাদ্দ না থাকায় এবারও খাল খনন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে।
চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি মিলিয়ে নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি পানির নিচে তলিয়ে যায়। আর এতে প্রতি বছর চরম দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। এরমধ্যে জলাবদ্ধতা প্রকল্প নিয়ে সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএর মধ্যে রশি টানাটানি চলেই আসছে। এ অবস্থায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের মেগা প্রকল্প গত আগস্টে অনুমোদন পায় সিডিএ। দীর্ঘ ৭ মাস পর অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাল খনন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম বলেন, আমরা শুধুমাত্র খাল খনন ও পরিষ্কার এবং ড্রেন খনন ও পরিষ্কারের কাজে হাত দিব।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বলেন, খাল খনন ও সংস্কার কার্যক্রম প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশন করে এলেও এবার পৃথক বরাদ্দ না থাকায় খনন কার্যক্রম থেকে সরে আসতে হয়েছে আমাদের। মেগা প্রকল্প সিডিএ অনুমোদন পাওয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সকল দায়িত্ব। বাজেট দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে আমরা সহযোগিতা করবো।
বর্ষা শুরু হওয়ার বাকি আছে কয়েক মাস। তবে এখনও জলাবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি না থাকায় পানি জমে থাকা নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য কোনো পরিকল্পনা কার্যকর হয় না। খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কারও করা হয় না।
তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো সেবাধর্মী সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান।
তিনি বলেন, অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি পরিষ্কার নয়। সিটি করপোরেশন অর্থ বরাদ্দ না পেলে কাজ কীভাবে করবে? আলোচনা সাপেক্ষে দুটো সংস্থা একটা সমাধান নিয়ে আসতে পারে।
জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আত্ততায় ৩৬টি খালে ৪৮টি গার্ডার ব্রিজ ও কালভার্ট, ৩টি জলাধার ও খালের উভর পাশে ১৫ ফুট চওড়া সড়ক নির্মাণ করা হবে। তবে এবারও জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কিত চসিক বাসিন্দারা।

সূত্র : সময় টিভি

Comments