দক্ষিণ চট্টগ্রামের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেরা। চন্দনাইশে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি বিষয়ে ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে। সাথে রয়েছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ, বিজিসি একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, মৌলানা ইছহাক শিশু নিকেতন, বেগম গুল চেমন কলেজ অব নার্সিং, ইব্রাহিম-ইকবাল মেমোরিয়াল হসপিটাল লি. ও মাদার তেরেসা হল।
জানা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০১ সালে অনুমোদন নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে সেশন শুরু করে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সাড়ে চার হাজারের অধিক শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে। তাদের মধ্যে অনেকেই দেশে-বিদেশে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন। বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রাক্তন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ। তিনি ১শ একর জমির ওপরে প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন লাভের পর থেকে মানসম্মত ও যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ প্রতিষ্ঠান। এখানে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধু ফ্রিডম স্কয়ার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বয়েজ হোস্টেল ও ডক্টরস হোস্টেল। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে বিবিএ, এমবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স, ইংলিশ, এলএলবি, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি বিভাগের ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ কে এম আকতারুজ্জামান কায়ছার বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর জন্য ১২০ জন শিক্ষকের পাশাপাশি ৩০ জন খ-কালীন শিক্ষক পাঠদান করে যাচ্ছেন। বিজিসি ট্রাস্ট স্কুল এন্ড কলেজ সার্টিফিকেট পরীক্ষাগুলোতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আগামী নভেম্বর মাসে বিজিসি ট্রাস্টের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করে সবকিছু ডিজিটালাইজড করে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
No comments